মাতার উপর সন্তানের হক
গর্ভধারণ করা।
আল্লাহ বলেন,
حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْناً عَلَى وَهْنٍ.
‘তার মাতা কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেছেন (লোকমান ৩১/১৪)।
গর্ভের সন্তানের গর্ভকালীন পুষ্টি মান রক্ষা করা।
এ কারণে মহান আল্লাহ মারয়াম (আঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,
وَهُزِّيْ إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَباً جَنِيًّا- فَكُلِيْ وَاشْرَبِيْ وَقَرِّيْ عَيْناً
তোমার দিকে খেজুর বৃক্ষের কান্ডকে ঝুঁকিয়ে নাও, সে তোমার উপর পতিত করবে তাজা উপাদেয় খেজুর, তা তুমি খাও ও পান কর এবং নয়ন জুড়াও (মারয়াম ১৯/২৫-২৬)।
সন্তানের ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
শরিয়ত এজন্য রোজা রাখতেও নিষেধ করেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
إِنَّ اللهَ وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ شَطْرَ الصَّلَواةِ وَالصَّوْمَ عَنِ الْمُسَافِرِ وَعَنِ الْمُرْضِعِ وَالْحُبْلَى
আল্লাহ তাআলা মুসাফির nতে অর্ধেক ছালাত এবং মুসাফির, স্তন্যদানকারিনী মাতা ও গর্ভবতী স্ত্রী লোক nতে ছিয়াম উঠিয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ ছিয়ামের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
মিশকাত: ২০২৫,
সন্তানের মানসিক গঠনের প্রতি খেয়াল রাখা।
ক্ষতিকর কোন কিছু গ্রহণ না করা, কুরআন মাজীদে এরশাদ হয়েছে,
وَكُلُواْ. مِمَّا رَزَقَكُمُ اللهُ حَلاَلاً طَيِّباً
আল্লাহ তোমাদের যা কিছু রিযিক দান করেছেন, তার মধ্যে হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার কর (মায়েদাহ ৫৪/৮৮)।
এখানে রিযিক বলতে যা গ্রহন করে বা পায়। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, আচরণ, ইত্যাদি।
পিতার উপর সন্তানের হক:
সন্তানের জন্য দ্বীনদার মায়ের ব্যবস্থা করা।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিবাহের ক্ষেত্রে বংশ, সম্পদ, সৌন্দর্য ও আল্লাহভীরুতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِيْنِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّيْنِ تَرِبَتْ .يَدَاكَ
মহিলাদেরকে চারটি গুণের অধিকারিণী দেখে বিবাহ করা হয়। (ক) তার ধন-সম্পদ (খ) বংশমর্যাদা (গ) তার সৌন্দর্য ও (ঘ) তার ধর্মপরায়ণতা। তোমরা দ্বীনদার মহিলাকে বিয়ে করে ধন্য হও, অন্যথা তোমার উভয় হাত ধুলায় ধূসরিত হবে। (অর্থাৎ তুমি লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে।
বুখারী হা/৫০৯০;
সন্তান এবং সন্তানের মায়ের সাস্থের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা।