কেউ মজার ছলে বললো, আমি যাকে বিয়ে করব সে তালাক। তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?
নাটকে যে প্রতীকি বিবাহ হয় এগুলোর হুকুম কী? এক্ষেত্রে পাত্র পাত্রী বা তাদের বাবার নাম তো ঠিক থাকে না। তারপরেও কি বিবাহ হয়ে যাবে?
মুহতারাম,স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক জীবন আট মাস চলতেছে।স্ত্রী অনার্স ক্লাসে অধ্যয়নরত।কিছুদিন পর তার পরিক্ষা আছে। স্বামী চাচ্ছে স্ত্রী যাতে আর পড়াশোনা না করে এবং পরিক্ষাও না দেয়।স্বামী স্ত্রীকে একথা জানানোর পর স্ত্রী বলে যে যদি আমাকে পরিক্ষা দিতে না দেও তাহলে বিয়ে বাতিল।এক্ষেত্রে কি তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হয়েছে?স্বামী যদি এখন স্ত্রীকে পরিক্ষা দিতে না দেয় তাহলে কি তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে? উল্লেখ্য যে,বিয়ের সময় স্ত্রীকে তাফবীযে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছে।
তিন তালাক দেয়া ব্যক্তি তার স্ত্রীর ইদ্দত পালনের পর তাকে আবার বিবাহ করলো। কোন এক আলেম বলেছেন বিবাহ জায়েজ হবে হিলা দিতে হবে না ! যে বিবাহ পড়িয়েছে সে বিষয়টি / মাসয়ালা অবগত না থাকায় এমন টা করেছে। আমার প্রশ্ন -- যে বিবাহ পড়িয়েছে সে কি গুনাহগার হবে? যদি হয় তবে করণীয় কি? স্ত্রী কি জায়েজ হবে?
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সম্মানিত মুফতি সাহেব আমার জানার বিষয় হল স্বামী তার স্ত্রীকে কোন কারণে তিন তালাক দিয়ে দেয় কিন্তু পরবর্তীতে সে এই স্ত্রীকে আবার পেতে চায় এমতাবস্থায় ইদ্দত শেষ হওয়ার পরে ওই স্ত্রী অন্য এক লোকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় কিন্তু কারণবশত ওই লোকটি সহবাস করতে একদমই অক্ষম এমত অবস্থায় ওই স্ত্রীর করণীয় কি সেকি সহবাস ছাড়াই দ্বিতীয় স্বামীর থেকে তালাক নিয়ে প্রথম স্বামীর সাথে সংসার করতে পারবে কিনা একটু বিস্তারিত আলোচনা করলে ভালো হবে?
তাড়াতাড়ি উত্তর প্রয়োজন। স্ত্রীর পক্ষ থেকে যদি স্বামী কে ডিভোর্স পেপারে সাইন করে তালাক দেয়,তাহলে কি তালাক হবে?
তালাকের বিষয় কুরআন সন্নাহের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই। বর্তমান সমাজে তালাকের বিষয়ে মানুষ অবগত নয়। যার ফলে প্রতিদিন জিনায় লিপ্ত আছে।
আসসালামু আলাইকুম আমার আমার সামীর কাছ থেকে আমি তালাক চেয়েছি কিন্তু ওনী কোনো ভাবেই তালাক দিবে না খোলা তালাকও দিবে না ওনী এখন বিদেশে থাকে এখন আমি কি কাজীর মাধ্যমে তালাক দিলে শরীয়া মোতাবেক তালাক হবে কাজী বলছে শরীয়া মোতাবেক তালাক হবে আমাকে একটু জানাবেন প্লিজ?
আমি একজন মেয়েকে ভালোবেসেছিলাম এবং একসময় নিজের ভালোবাসার কথা তাকে জানাই। আল্লাহর কৃপায় সেও আমাকে গ্রহণ করে। তবে আমি জানতাম, যদি সম্পর্কটি শুধু গতানুগতিক প্রেমে পরিণত হয়, তাহলে সেটা গোনাহের পথ হতে পারে। তাই আমরা আল্লাহর ভয় নিয়ে, পাপ থেকে বাঁচার চিন্তায়, আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই। তারাও সম্মত হন। তবে কিছু পারিবারিক সমস্যা থাকায় উভয় পরিবার চায়, বিয়ের বিষয়টা অন্তত এক-দুই বছর পরে হোক। অন্যদিকে, আমাদের মধ্যে কথা বলা ও যোগাযোগ শুরু হয় — যা আমাদের পাপমুক্ত রাখছিল না। এ অবস্থায় বন্ধুদের পরামর্শে মেয়েটিকে অনুরোধ করি, যেন সে আমাকে মোবাইলের মাধ্যমে ওকিল নিযুক্ত করে (যেমন: “আমি আপনাকে আমার পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য ওকিল নিযুক্ত করলাম”)। সে রাজি হয় এবং আমাকে ওকিল নিযুক্ত করে। আমি, আমার দুই বন্ধু— আমাদের মধ্যে একজন খুতবা পাঠ করে, আর আমি নিজেই মেয়ের পক্ষ ও নিজের পক্ষ থেকে ইজাব (প্রস্তাব) ও কবুল (গ্রহণ) করি। এভাবেই নিকাহ্ সম্পন্ন হয়। এরপর প্রায় এক বছর আমরা কথাবার্তা চালিয়ে যাই। কিন্তু সময়ের সাথে কিছু সমস্যা ও ঝগড়া শুরু হয়। একসময় মেয়েটি তালাক চায়। আমি তাকে এক তালাকে রজয়ি দিই। কিছুদিন পর সে অনুতপ্ত হয়ে মাফ চায় এবং আমি তাকে ফিরিয়ে নিই। কিছুদিন আগে আবারও ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে উত্তেজনায় তিন তালাক চায়। তখন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, আমি তাকে তিন তালাক দিয়ে দেই। এই পুরো বিষয়টি দুই পরিবারের কেউ জানে না। বর্তমানে সে আবার অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসতে চায়, ক্ষমা চাচ্ছে। কিন্তু আমি তাকে বলেছি, তিন তালাকের পর আর ফেরার কোনো সুযোগ নেই। এখন মেয়েটি তার পরিবারকে বিয়ের জন্য বুঝিয়েছে, এবং তার পরিবার এখন আমার পরিবারকে চাপ দিচ্ছে বিয়ের জন্য। আমি খুবই দুশ্চিন্তায় আছি, কারণ আমি ঘটনাগুলো কারো সামনে খোলাসা করতে পারছি না। --- এখন আমার প্রশ্ন: 1. শরিয়তের দৃষ্টিতে আমি কি তাকে আবার বিয়ে করতে পারবো? 2. যদি না পারি, তাহলে আমার পরিবারকে এই সত্য ঘটনাগুলো কীভাবে বোঝাবো? 3. আমি কোন ভুল করেছি? ভবিষ্যতে আল্লাহর গজব থেকে বাঁচার জন্য কী করণীয়? --- আল্লাহ যেন আপনাদের ইলমে, হিকমাতে, হায়াতে বরকত দান করেন। আমি আপনাদের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ চাই।
পালিয়ে বিয়ে করার পর পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেওয়া হয়নি, ছেলেকে তার পরিবার থেকে জোরপূর্বক কোর্ট থেকে মেয়ের বাড়িতে ডিভোর্স লেটার পাঠানো হয়,ডিভোর্স লেটারে ছেলের স্বাক্ষর ছিল জোর পূর্বক, ছেলের ডিভোর্স দেওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না। ★এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই ডিভোর্স লেটারের মাধ্যমে কি মেয়ের জন্য তালাক পতিত হবে?