ক্র. | আলিম / সংস্থা | মৌলিক বক্তব্য | মুখ্য রেফারেন্স |
---|---|---|---|
১ | আল্লামা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল‑ওহ্হাব ইবনু আব্দুর রাযযাক (জ্যোতির্বিজ্ঞানী, মরক্কো) | বিশ্ব‑ঈদ বাস্তবতাবিরোধী; চাঁদ‑দর্শনের নবি‑সুন্নাহ ভাঙবে | العذب الزلال في مباحث رؤية الهلال, পৃ. 174‑207 |
২ | শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু হুমাইদ (সাবেক ইমাম, মসজিদুল‑হারাম) | স্থানীয় চাঁদ‑দর্শনই শরঈ বিধান; একদিনে ঈদের দাবি দুর্বল | تبيان الأدلة في إثبات الأهلة (উর্দু অনুবাদ, আল‑ফুরকান) |
৩ | আলমাজমাউল ফিকহিল ইসলামী (রাবেতা, মক্কা) | এক‑ঈদ “প্রয়োজন নেই”; উম্মাহর ঐক্য কুরআন‑সুন্নাহ মানার মাধ্যমেই | قرارات المجمع الفقهي (১৯৮১), পৃ. 87‑89 |
৪ | শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ইব্রাহীম آل‑শায়খ (সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, সৌদি) | বিষয়টি শাখাগত; ১৩‑শতকে পার্থক্য ক্ষতিকর হয়নি | فتاوى ورسائل, খ. 4, ফতওয়া 1096 |
৫ | মুফতি মুহাম্মাদ শফী (রহ.) | একদিনে ঈদকে ফরজ/ওয়াজিব বলা “বিদআত‑সদৃশ” | পুস্তিকা রুইয়াতে হিলাল, পৃ. 11‑12, 32‑37 |
৬ | মাওলানা ইউসুফ বিন্নূরী (রহ.) | বিশ্ব‑ঈদ শরিয়তের স্বভাববিরুদ্ধ | معارف السنن (শরাহ তিরমিযী) |
৭ | মাওলানা আব্দুল মাজিদ দরিয়াবাদী | এক‑তারিখ বাধ্য করা অযৌক্তিক—even ভারতেও | তাফসীরে মাজেদী, খ. 1, পৃ. 338‑340 |
৮ | মাওলানা আব্দুর রহমান কিলানি (আহলে হাদিস) | প্রকৃত জরুরি ইবাদত ফেলে “ঈদের তারিখ‑কেন্দ্রিক আবেগ” অপ্রয়োজনীয় | الشمس والقمر بحسبان / ইসলাম কা নিযাম‑ই‑ফালাকিয়্যাত, পৃ. 79 |
৯ | হাফেজ সালাহুদ্দীন ইউসুফ | সৌদি‑ভিত্তিক এক‑ঈদও দলিলবিহীন | مسألة رؤية الهلال, পৃ. 153 |
১০ | পীর করম শাহ আজহারী | ভৌগোলিক ফারাক মানতেই হবে; দূর‑দূরান্তের চাঁদ গ্রহণযোগ্য নয় | ضياء القرآن, খ. 1, পৃ. 125 |
১১ | ড. ইউসুফ আল‑কারযাভী | কুরআন‑হাদিসে বিশ্ব‑ঈদের নির্দেশ নেই; বাস্তবে “সম্পূর্ণ অর্থহীন” | ইস্তাম্বুল হিজরি ক্যালেন্ডার সেমিনার (২০১৬) সাক্ষাৎকার |
১. ইতিহাস‑বিরোধী যুক্তি
‑ ১৩০০+ বছর ধরে মুসলিমরা কখনো এক দিনেই রোজা‑ঈদ পালন করেননি; শুধু আধুনিক প্রযুক্তি আসায় সে ইতিহাস ভুল বলে বিবেচনা করা যায় না।
নামাজের সময় অঞ্চলভেদে ভিন্ন
‑ ফজর‑এশা পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই একসঙ্গে পড়া যায় না; মাস হিসাবেও ১‑২ দিনের পার্থক্য স্বাভাবিক।
প্রাকৃতিক (চন্দ্র‑সূর্য) চক্র
‑ মাস নির্ধারিত হয় চাঁদের উদয় দিয়ে, দিন নির্ধারিত সূর্য দিয়ে—স্থানভেদে দুটোর সময় সবসময় মিলবে না।
আলেমদের ঐকমত্য (ইজমা)
‑ দূরত্বজনিত ভিন্নতা আলেমসম্মত; একই মুহূর্তে সব স্থানে চাঁদ দেখা অসম্ভব বলে তারা একমত।
নবী (সা.)‑এর যুগের চর্চা
‑ রাসূল (সা.) কখনো দূর অঞ্চলে চাঁদ‑সাক্ষ্য সংগ্রহে লোক পাঠাননি; স্থানীয় দেখাকেই গ্রহণ করা হয়েছে।
সাহাবাদের আমল
‑ তিরমিযি‑মুসলিমের হাদিস: ইবনে আব্বাস (রা.) হিজাজের খবর মানেননি, নিজ এলাকায় চাঁদ দেখে রোজা‑ঈদ করেছেন।
ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা
‑ ১৪ শতকে কোথাও একদিনে বৈশ্বিক রোজা‑ঈদের উদ্যোগ নেই; মুসলিমরা এটাকে সমস্যা মনে করেননি।
ঋতু ও জোয়ার‑ভাটার বৈচিত্র্য
‑ চাঁদ‑নির্ভর প্রাকৃতিক পরিবর্তনও অঞ্চলভেদে ভিন্ন, তাই একই তারিখে ‘মাস’ শুরু নাও হতে পারে।
সাহরি‑ইফতার স্থানীয়, রোজা বৈশ্বিক—অসঙ্গতি
‑ অন্য দেশের চাঁদ ধরে রোজা শুরু করলে সাহরি‑ইফতার স্থানীয় সূর্য অনুযায়ী করার বিধান অমিল হয়।
আন্তর্জাতিক ফিকহ কমিটির সিদ্ধান্ত
‑ ১৯৮১‑র রাবেতা‑ইসলামী ফিকহ কমিটি বলেছে: বৈশ্বিক একদিনে সিয়াম‑ঈদের আহ্বান জরুরি নয়; প্রত্যেক দেশের দারুল‑ইফতা‑ই সিদ্ধান্ত নেবে।